Эпизоды

  • এখন তো আপনি কলমি শাক কিনেও UPI দিয়ে টাকা মেটান। UPI শুরু হয়েছিল কি করে বলুন তো ? UPI ব্যবহার করার সময় কি কি সতর্কতা মাথায় রাখতে হবে জানেন ?

    ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড ! পার্থক্য কি ? কোনটা কখন ব্যবহার করবেন ? ব্যবহারের সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন ?

    আপনার সন্তান সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে আছে ? কিভাবে আটকাবেন ?

    আপনার একজন বন্ধু একটা গাড়ি কিনেছে, কিনে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছে, আপনি ছবিটা দেখলেন খানিকক্ষণ ধরে, কিন্তু লাইক কমেন্ট কিছু করলেন না, সোশ্যাল মিডিয়া কম্পানি আপনাকে এবার গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে, কেন বলুন তো ?

    হোয়াটসএপ এ সকালবেলা গুড মর্নিং মেসেজ পাঠালে কি কি বিপদ হতে পারে জানেন ?

    এই সব প্রশ্নের উত্তর আমি সহজ সরল বাংলা ভাষায় দিয়েছি আমার বই "ডিজিটাল সেফটি"তে। এছাড়াও দীর্ঘদিন পেমেন্ট টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার সময়ে দেখেছি ছোট ছোট ভুলের জন্য সাধারণ মানুষের টাকা চোররা কিরকম করে নিয়ে নেয়। সেটা আটকাতে কি কি করা উচিৎ, সেকথা লেখা আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়।

    পয়লা জুলাই দু হাজার তেইশ থেকে এই বই পাওয়া যাবে আমাজনে, সৃষ্টিসুখের নিজের ওয়েব সাইটে আর বাংলাদেশে রকমারিতে । ইবুক ফরম্যাটে পাওয়া যাবে কিন্ডল আর গুগল প্লেবুক স্টোরে ।

    না পড়লে বিপদ আপনারই । আমার কাজ শুধু আপনাকে সতর্ক করে দেওয়া ।

  • Пропущенные эпизоды?

    Нажмите здесь, чтобы обновить ленту.

  • What is Time Sharing ? Is It a Fraud ?

    এই কালীদা, চা দুটো দাও। গলাটা খুশ খুশ করছে।

    দাঁড়ান, আগে গলাটা ভিজিয়ে নেওয়া যাক। চায়ে চুমুক দিতে দিতে এটা শুনুন আগে।

    —-------------------------------------------

    শুনলেন তো কল টা ? এটা অবশ্য বেশ কিছুদিন আগের ফোন কল , আর বৌয়ের সাথে ঝগড়া মিটেছে কিহবেনা সেটা এপিসোডের শেষে বলছি। এই এপিসোডটা ডিজিটাল সেফটিতে করছি যদিও এটাকে ফ্রড বলা ঠিক হবে না, এটা ডিজিটাল ও নয়, তবুও আজকের টপিকটা এমন টপিক, সেটা নিয়ে জানা না থাকলে ঠকে যাওয়ার চান্স থাকে। তাই আমি সৃজন, ডিজিটাল সেফটিতেই এই এপিসোডটা করব বলে ঠিক করলাম, সৃজনের পডাবলীতে নয় ।

    তো , সবার প্রথমে একটা টার্ম বলব - টাইম শেয়ারিং। যারা কম্পিউটার নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন বা বইপত্তর পড়েছেন, তারা এই টার্মটার সাথে পরিচিত। তবে আজ আমি কম্পিউটারের নয়, ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির টাইম শেয়ারিং নিয়ে বলবো। এখানে কি হয়, একটা রিসোর্স একাধিক মালিক বা তার প্রতিনিধি এক সাথে ব্যবহার করেন । যেমন ভাবে কোন হোটেল বা রিসর্টে আপনি একটা, দুটো, তিনটে ঘর নিয়ে থাকেন, এখানেও তাই। আপনি এক সপ্তার মালিক। এই টুকুই জ্ঞান দেওয়ার ছিল। এর বেশি জানতে চাইলে আমার ইন্সটা হ্যান্ডেল সৃজন ডট কুন্ডু ( srijan . kundu ) তে কমেন্ট বা মেসেজ করুন, আলাদা করে বলে দেব।

    এবার, এই যারা কল করছে,তাদের মোডাস অপারেন্ডি বা কাজ করার পদ্ধতিটা বলি - আপনাকে একটা বেশ ভালো ভাবে একটা পরিষ্কার পরিছন্ন জায়গায় ডাকা হবে। গিফ্ট যা যা বলেছে সবই হয়ত দেবে বা কিছু কন্ডিশন ফুলফিল করলে পাওয়া যাবে এরকম কন্ডিশন রেখে তারপর দেবে। সেটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।

    গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হল, আপনাকে একটা দামী প্যাকেজ সাজেস্ট করা হবে, বছরে এত বার এত এত জায়গায় ফ্রিতে বা নামমাত্র টাকায় ঘোরা যাবে। কলটা ভালো করে শুনলে বুঝবেন, আমার স্ত্রীকে আনার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত পুরুষরা কাজের জন্য এদিক ওদিক গিয়ে থাকেন, কিন্তু মহিলারা, to be specific , হাউজ ওয়াইফরা সাধারণত বাড়িতে থাকেন, এবং নিজেকে ডিপ্রাইভড মনে করেন। তো, ফার্স্ট লেভেলে স্বপ্ন দেখানো হয়। বছরে এত বার এই এই জায়গায় যেতে পারবেন - গোয়া , কাশ্মীর , কেরালা , আন্দামান , হিমাচল এরকম। এবার আপনি উঠে আসতে চাইলে বলবে দাঁড়ান সিনিয়রকে ডাকি। অন্য লোকটা এসে ক্যাট ক্যাট করে কথা বলবে -অল্প বলবে ,বেশি পাত্তা দেবে না। কিছুটা কমাবে। তারপরেও কনভিন্সড না হলে সে তার জুনিয়রকে বলবে - কেন এসব গরিব লোকের পিছনে টাইম ওয়েস্ট করছ। এবং সে পাত্তা না দিয়ে চলে যাবে। আপনার ইগো হার্ট হবে। আপনি হয়ত আপনার দরকার না থাকলেও ওদের প্যাকেজটা নেবেন। আর এর পরেও নিতে না চাইলে প্রাইস কিছু কমিয়ে নতুন প্যাকেজ দেওয়া হবে - এর পর আপনি হয়ত নেবেন বা না নিয়ে বেরিয়ে আসবেন।

    আমি কল চলাকালীন এই ম্যাজিশিয়ান হলিডেজ বলে গুগল করে কিছু পেলাম না। একটা কাস্টমার ফেসিং কম্পানির ওয়েবসাইট নেই, এটা হয়না। তাই চাপ নেই নি। এমনি ও আমার ঘুরতে যাওয়া হুট করে ঠিক হয়। লাস্ট কয়েক বছরে যে কবারই বেড়িয়েছি, সব লাস্ট মোমেন্টে প্ল্যান করা , হার্ডলি দু সপ্তা আগে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারিয়ট, ডিজনি এরা এই ইন্ডাস্ট্রির বড় নাম , কিন্তু তাদের রেগুলেশন অনেক স্ট্রং। এখানকার মতন মিসসেলিং করার চান্স কম থাকে।

    আর আপনার ইনফর্মেশন কিভাবে বের হয়ে যায় দেখলেন ? ওটা নিয়ে অন্য একদিন বসব।

    এপিসোডটা ভালো মন্দ যাই লাগুক, আমাকে ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে জানাতে ভুলবেন না, স্পটিফাই বা ইউটিউবে শুনলে সেখানেও কমেন্ট করতে পারেন। আর যদি মনে হয়, বন্ধু বান্ধব , আত্মীয় স্বজনকে এই এপিসোড বা পডকাস্ট শোনালে উপকার হবে, তাহলে তাদের সাথে লিংক শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর ফলো , সাবস্ক্রাইব এগুলো করবেন , নাহলে নতুন নতুন টপিকে কথা বলার উৎসাহ পাব না।

    ভালো থাকবেন, কথা হবে শিগগিরই। আজ উঠি , টাটা।

  • নামমাত্র খরচেই হোলি পার্টি।  লিঙ্ক খুলতেই উধাও টাকা। খবরের কাগজের শিরোনাম এটাই। খবরটা আমার চোখ এড়িয়ে গেছিল, whatsapp পাঠিয়ে আমার কলিগ, সুরভী জানতে চাইল, ডিজিটাল সেফটিতে এটা নিয়ে আলোচনা করা যায় কি না। খবরটা পড়লাম ভালো করে। এপিসোড করা যায় অবশ্যই। করব বলেই ঠিক করেছিলাম ,কিন্তু করা হল না।  ওদিকে দোলও চলে গেল , তাই ভাবলাম একবার ছোট করে পুরোটা বলা যাক , এবং এই একটা এপিসোড - একটা সামারি এপিসোড হয়ে থাকুক।  


    যারা digital safetyর আগের কোনো এপিসোড শোনেননি, তারা জাস্ট একটা এপিসোড শুনে মোটামুটি আইডিয়া করতে পারবেন পুরো ব্যাপারটা নিয়ে। ক্রিসমাসের সময় আমার আর এক কলিগ, শুভজিৎ পড়েছিল ফ্রডদের পাল্লায়, সেক্ষেত্রে বো ব্যারাকস এর এক নামী কেক বেকারের নাম করে ফ্রড হচ্ছিল। আমার বিশ্বাস ভ্যালেন্টাইন্স ডের সময়েও কিছু না কিছু করে থাকবে এরকম। পরেও হয়ত পয়লা বৈশাখ, ঈদ বা এরম কোন উৎসবের নাম করে ফ্রড হবে । তাই উৎসব টা মুখ্য নয়। টেকনিকগুলো বোঝাই মেন জিনিস। সেসব নিয়েই,  আমি সৃজন, ডিজিটাল সেফটিতে, আপনার সাথে আড্ডা দেব আজ। 


    এক মিনিট দাঁড়ান, চা টা বলি । এই কালীদা, দুটো চা।


    হ্যাঁ, যেকথা বলছিলাম। কি কি ভাবে ফ্রড গুলো করা হয় -


    পরিচয় চুরি - Identity Theft বা পরিচয় চুরি , এই দিয়েই ডিজিটাল সেফটি , এই পডকাস্ট শুরু হয়েছিল। আপনার বিশ্বাস অর্জনের জন্য, আপনার চেনা কারো কাছ থেকে যদি হোলি খেলার বা নিউ ইয়ার পার্টি করার ইনভিটেশান আসে , আপনার বিশ্বাস জন্মাতে বাধ্য। উল্টো দিকে, আপনি অসতর্ক থাকলে, আপনার সারল্যের সুযোগে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, বা আপনার নকল প্রোফাইল বানিয়ে , আপনার পরিচয় ব্যবহার করে ফ্রড হওয়া আশ্চর্যের কিছু না 


    ফিশিং - ফ্রড করার সহজতম এবং সব থেকে প্রচলিত পদ্ধতি। ইমেলে লোভনীয় অফার আর সাথে একটা লিঙ্ক। ক্লিক করলেই টাকা গায়েব হয়ত হবে না, তবে ক্লিক করে কোন ডিটেল দিলে, সেটার সাহায্যে কিছু হওয়া আশ্চর্যের না 


    ভিসিং আর স্মিশিং - ফোন করে “হাম ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোল রাহা হ্যায়” বলে কার্ড নাম্বার , সিভিভি এসব যে চাওয়ায় হয়, সেটা ভিসিং বা  ভয়েস ফিশিং। একই রকম ভাবে SMS পাঠিয়ে যে ফিশিং করা হয় সেটা স্মিশিং। অনেক লোকের টাকা খোয়া যায়। 


    অনলাইন কেনাবেচার ওয়েবসাইট - বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন বা পুরোনো জিনিস বেচার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যে সব সাইটে, চোরেরা ওৎ পেতে থাকে সেখানে। আপনি বিজ্ঞাপন দিলেই এমন কাস্টমার হিসাবে ফোন আসবে যেটা too good to be true . আর সেই ফাঁদে পা দিলেই, এক্যাউন্ট থেকে টাকা ভ্যানিশ।  


    উল্টো পাল্টা জায়গা থেকে ডাউনলোড করা মোবাইল app - মোবাইলে আপনি সরাসরি APK ডাউনলোড করে app ইনস্টল করেন ? খুব সাবধান। প্লে স্টোরে যখন app থাকে, সেটা অনেকগুলো সিকিউরিটি চেক পেরিয়ে আপনার কাছে আসে।  কিন্তু সরাসরি apk নামালে সেটা হয় না। তাই ওটা না করাই ভালো 


    স্কিমিং -স্কিমিং বা কার্ড ক্লোনিং।  তবে এটা অনেক অনেক কমেছে ২০২০ র ডিসেম্বরের পর থেকে। RBI এর নিয়মের ফলে বাধ্যতামূলক হয়েছে চিপ বেসড কার্ড এবং ATM এ EMV কার্ড এর চিপ থেকে ডেটা পড়ার বাধ্যবাধকতা চালু হওয়ার পর। তবে আবার কোনো দিন স্কিমিং ফিরে আসবে না, এমন কোনো গ্যারান্টি তো নেই। তাই নিয়মিত পিনটা পাল্টাতে ভুলবেন না। 


    রিমোট স্ক্রিন শেয়ারিং app - টিমভিউয়ার আর এনিডেস্ক - এই দুটো aap এর নাম মনে রাখুন ,  কুইক সাপোর্ট বলে ইনস্টল করানো হয়, এটা ইনস্টল করে otp দিলে আপনার ফোনের সব কিছু সাইবার চোরেরা দেখতে পাবে। তাই আপনার যদি যথেষ্ট পরিমান টেকনিক্যাল নলেজ না থাকে, তাহলে ভুল করেও এই app ইন্সটল করবেন না 


    সিম ক্লোনিং বা সিম সোয়াপ - এর আগে যেগুলো বললাম, তার কোন একটা টেকনিক ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট সিম নেয় চোরেরা । আর মোবাইল নম্বর হাতে পেয়ে গেলে, ফ্রড করা অনেক সহজ হয়ে যায়


    সার্চ ইঞ্জিন - একটা ছোট্ট জোক শোনাই - কোন কিছু লুকিয়ে রাখার বেস্ট জায়গা হচ্ছে গুগল সার্চের সেকেন্ড পেজ । আমরা সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম কয়েকটা রেজাল্টকে এত বিশ্বাস করি , যে পরের গুলোর দিকে ফিরেও দেখি না। এর সুযোগ নেয় জালিয়াত গুলো । কাস্টমার কেয়ারের ফোন নাম্বার হিসাবে নিজেদের নাম্বার দিয়ে রাখে বিভিন্ন সাইটে । কেউ গুগল করে সেই সাইটে গিয়ে ওই নাম্বার দেখে ফোন করলে, তার মগজ ধোলাই করে মুরগী করা জাস্ট ম্যাটার অফ টাইম ।


    QR কোড - চার নাম্বার পয়েন্ট আর এই শেষ পয়েন্ট একে অন্যকে কমপ্লিমেন্ট করে। শুধু QR Code নিয়ে, স্পেশালি UPI QR নিয়ে আস্ত একটা এপিসোড আছে। সম্ভব হলে শুনবেন। Whatsapp এ কেউ কিউ আর পাঠালে, খুব সিওর না হলে এড়িয়ে চলবেন।  আর টাকা নেওয়ার জন্য UPI PIN দিতে হয় না, এটা মাথায় রাখবেন , ব্যাস। 


    এই একটা এপিসোডে আগের সব এপিসোডের পডকাস্টের সামারি হয়ে গেল কিন্তু। এটাতে যা বললাম , মোটামুটি এটুকু মাথায় রাখলেই ফ্রড এড়ানো সহজ হবে।

  • Recently one of my friends had faced a very sophisticated fraud. He booked a hotel through UPI. Later it was found that the mobile number was manipulated on the Genuine website. How can you prevent these frauds ? We have discussed that in this episode. A similar incident was reported by ABP Ananda. Link of that report - https://fb.watch/g_8vQ5rx3s/

  • এয়ারপোর্টে বা এরকম কোন জায়গায় পৌঁছে কখনো পৌঁছানোর পর খেয়াল হয়েছে যে ফোনটা চার্জ করে বেরোনো হয় নি ? সামনেই একটা চার্জিং ষ্টেশনও পেয়ে গেলেন, ফোনটা চার্জ ও করে নিলেন।  এরপর কিছুক্ষণ পরেই বিমানযাত্রা , দু-আড়াই ঘন্টার বিমানযাত্রা শেষে গন্তব্যে পৌঁছালেন। ফ্লাইট মোড থেকে ফোনটা নরম্যাল করলে পরপর SMS ঢোকা শুরু করল যে ব্যাঙ্ক account থেকে একগাদা টাকা বেরিয়ে গেছে। কি করে হল বলুন তো ?


    এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হবে আজকের এপিসোডে , তার আগে বলুন তো শেষ কবে কারন ছাড়া পালস , এক্লেয়ার্স বা অন্য কোন টফি কিনেছেন মনে পড়ে ? আগে তো দোকানদার খুচরো নেই বলে দিব্বি হাতে ধরিয়ে দিত কোন না কোন লজেন্স। UPI আসার পর আমরা exact amount পেমেন্ট করি। ফলে ওই সব লজেন্সের পুশ সেলিং একেবারে বন্ধ। দু হাজার দশ থেকে দু হাজার ষোলো সতেরো অব্দি এই সব কম্পানি প্রচুর গ্রোথ দেখিয়েছে। এখন সবাই আগের সেল ভল্যুমে যেতেই স্ট্রাগল করছে। এটা আমি ইন্টারনেটেই পড়েছি কয়েকদিন আগে, তখনই ভেবে রেখেছিলাম UPI নিয়ে বলার সময় এটা বলতেই হবে 


    আগের এপিসোডে যখন আড্ডা দিয়েছি UPI নিয়ে, ওটাতে এটা বলতে একদম মিস করে গেছি। টেকনিক্যাল জিনিসপত্র কত সহজ করে বলা যায় সেটা ভাবতে ভাবতে, এপিসোড রেকর্ড করার সময় মাথা থেকে একদম বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য এপিসোডটা একটু তাড়াহুড়ো করেই রেকর্ড করেছিলাম কারন ফোনে চার্জ কম ছিল তখন, রেকর্ড করে , কভার আর্ট বানিয়ে আপলোড করতে একটু সময় লাগেই। ফোন সুইচ অফ হয়ে যাওয়ার আগে সেটা শেষ করার চিন্তা ছিল মাথায়। অফিসে চার্জার নিয়ে গিয়ে চার্জ করলে হয়ত এই তাড়াহুড়োটা করতে হত না। তবে অফিসে চার্জার নিয়ে যাইনি, তার পিছনে একটা কারন, একটা সত্যি ঘটনা আছে। সেটাই বলব আজ। 


    নমস্কার , আমি সৃজন ডিজিটাল সেফটি বাংলা পডকাস্টে আজ কথা হবে ফোনের চার্জার নিয়ে। শুরু করব একটা ঘটনা বলে -


    বাইশে সেপ্টেম্বর সকালে whatsaap ফরওয়ার্ড হিসাবে পেলাম একটা মেসেজ, একটা ঘটনার কথা বলা আছে সেখানে । হায়দ্রাবাদের এক বড় কম্পানির CEOর ফোন ব্যবহার করে ষোলো লক্ষ টাকার ফ্রড হয়ে গেছে। মোডাস অপারেন্ডি কি ? CCTV ফুটেজে দেখা গেছে সেই CEO ফোন চার্জ করতে দিয়ে কোথাও গেছেন। তারপর তার অফিসের পিওন এসে চার্জার চেঞ্জ করে ফোন চার্জে দিল, কিছু পরে আবার এসে এই চার্জার নিয়ে আসল চার্জারে ফোন লাগিয়ে চলে গেল।  আর তার পরেই একাউন্ট থেকে ষোলো লাখ টাকা গায়েব। ঘটনাটা আমার কাছে সামান্য অতি রঞ্জিত মনে হয়েছে, তবে এই রকম কিছু একটা হওয়া কঠিন কিছু নয়। 


    এই যে চার্জার কিম্বা ডেটা কেবল ব্যবহার করে ফোন হ্যাক করার যে পদ্ধতি, অৰ্থাৎ আজ যে টপিকটা নিয়ে কথা হবে সেটার পোশাকি নাম জুস জ্যাকিং। কি হয় এই জুস জ্যাকিং এ ? আপনি আপনার ফোন কোন পাবলিক প্লেসে রাখা চার্জার বা চার্জিং পয়েন্টে ডেটা কেবল লাগিয়ে চার্জ দিলে, হ্যাকাররা আপনার ফোনের access সহজেই পেয়ে যাবে।  আর একবার ফোনের access পেয়ে গেলে কি হতে পারে, সেটা সিজন ওয়ানে, একাধিক এপিসোডে কভার করা হয়েছে , আজ তাই সেগুলো রিপিট করব না। 


    কিভাবে হয় সেটা প্রথমে বলে তারপর বাঁচার উপায় বলব। ফোন যখন আপনি প্লাগ পয়েন্টে লাগান তখন সরাসরি চার্জ হয়।  কিন্তু কোন কম্পিউটারে ডেটা কেবল লাগিয়ে দেখুন, অনেকগুলো অপশন দেখায়। ফোন জিজ্ঞেস করবে আপনাকে - এগ রোল , চিকেন রোল , স্পেশাল চিকেন রোল ….. ওহ সরি সরি। ফোন জিজ্ঞেস করবে - শুধু চার্জ করবেন , নাকি চার্জ করবেন আর ফটো ট্রান্সফার করবেন অথবা চার্জ করবেন আর ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য ফুল access দেবেন। ফোনের সেটিং ঠিক না থাকলে বা আগে থাকতেই ভাইরাস থাকলে এই তিন নম্বর অপশনটা চালু হয়ে যায়। এর ফলে হ্যাকার, ফোনের সব কিছু কন্ট্রোল করতে পারে। নতুন করে ম্যাল ওয়ার ঢুকিয়ে দিতে পারে। ফোনে আইডি পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখলে সেগুলো সব পেয়ে যায় , OTP অন্য নাম্বারে ফরোয়ার্ড করতে পারে , ইমেলে ঢুকে যেতে পারে। এবং এরপর আপনার ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাঙ্কিয়ে ঢুকে টাকা সরানো জাস্ট বাঁয়ে হাত কা খেল। 


    এবার ধরা যাক আপনি প্লেনে ওঠার আগে এয়ারপোর্টে পাবলিক চার্জারে চার্জ করে বোর্ডিং করলেন। প্লেনে আপনার ফোন বন্ধ বা ফ্লাইট মোডে আছে। আপনি আকাশে উড়তে উড়তে জানতেও পারছেন না নিচে কি হচ্ছে। ওদিকে চার্জ করতে দেওয়ার সময় আপনার ফোন থেকে যা যা যাওয়ার , সব হ্যাকারদের হাতে চলে গেছে। আপনি আপনার ডেস্টিনেশনে পৌঁছে, ব্যাংককে ফোন করে জানানোর আগে একাউন্ট খালি  অথবা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট অন্যের কব্জায়। 



  • রুদ্ধশ্বাস ভারত-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। শেষ বল অব্দি টানটান উত্তেজনা এবং চার উইকেটে ভারতের জয়। ভারত, পাকিস্তানকে ওয়ার্ল্ড কাপে হারাবে; এটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, দীপাবলির আগের দিন, বিরাট কোহলি, ব্যাট করছিলেন যখন, ম্যাচের শেষদিকে, সারা দেশ কেনাকাটা বন্ধ করে টিভিতে ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত হয়ে গেছিল। এবং এতটাই ব্যস্ত হয়ে গেছিল, যে UPI transaction বিপুলভাবে কমে যায় বলে খবর করেছে ইকোনমিক টাইমস সহ সমস্ত বড় খবরের কাগজ। UPI এখন এতটাই পাওয়ারফুল, যে দেশ চলছে কি চলছে না সেটা UPI দিয়েই বুঝছি আমরা। 


    এতটা শুনে কি ভাবছেন, আবার UPI ? টপিক কি কম পড়েছে ? তা নয়, টপিক অনন্ত। কিন্তু আগেও বলেছি - UPI is very very close to my heart. নতুন কিছু এক্সসাইটিং হলে খুব ভালো লাগে।  সেটা নিয়ে আরো জানতে ইচ্ছে করে। UPI Lite নিয়ে এপিসোড হয়ে গেছে। আজ UPI এর নতুন ফিচার যার সাহায্যে ফিচার ফোন দিয়েও UPI করা যাবে। আরও কিছু বেশি মানুষ UPI করতে পারবেন। 


    নমস্কার আমি সৃজন। ডিজিটাল সেফটি সিজন টু এপিসোড থ্রীতে আজ UPI ওয়ান টু থ্রি। 


    UPI এখনো অব্দি আমরা মূলত স্মার্টফোনেই ব্যবহার করেছি। ফিচার ফোন বা যাকে আমরা চলতি বাংলায় পাতি ফোন কিম্বা বোতাম টেপা ফোন বলে থাকি, সেই ফোনে UPI খুব একটা ব্যবহার করার ব্যবস্থা ছিল না। ‘খুব একটা’ যোগ করতে হয়েছে কারন এর আগে ষ্টার নাইন নাইন হ্যাস ডায়াল করে, এই পাতি ফোন থেকে ও UPI করা যেত।  সমস্যা হল এইভাবে USSD দিয়ে UPI করতে গেলে প্রতিবার পঞ্চাশ পয়সা চার্জ লাগে। আর আমাদের দেশ, কস্ট সেনসেটিভ , আমাদের সব কিছু ফ্রিতে চাই।  তার উপর যে লোকটা স্মার্ট ফোন কিনে উঠতে পারে নি , তার কাছে প্রতিবার পঞ্চাশ পয়সা খরচা করে UPI করা এক রকম বিলাসিতা। আজ ও *99# ডায়াল করে UPI করা যায়, কিন্তু একেবারেই জনপ্রিয়তা পায় নি এটা । 


    NPCI একটা জিনিস আমার দারুন লাগে , কোন একটা আইডিয়া ফেল করে গেলে আবার কোন ইনোভেশন নিয়ে এসে, আবার নতুন করে attempt করা হয়। ফিচার ফোন ইউজারের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমলেও, লোয়ার ইনকাম গ্রূপের একটা বড় অংশ আজও এর উপরেই ডিপেন্ড করে থাকে। ফলে RBI এবং NPCI দুজনেই মনে করেছে এনাদের ও UPI এর সুবিধা পাওয়া উচিৎ। তো এই ভাবনা চিন্তারই রেজাল্ট UPI123, যার সাহায্যে স্মার্ট ফোন ছাড়াও দিব্বি UPI করা যাবে। 


    UPI123 থেকে UPI এর আর্কিটেকচারে মেজর চেঞ্জ যেটা আসলো সেটা হল সার্ভার সাইড কমন লাইব্রেরি। এটা বুঝতে গেলে আগে একটু জানতে হবে কমন লাইব্রেরি কি জিনিস। গুগল পে , ফোনপে বা অন্য কোন UPI App দিয়ে পেমেন্ট করার সময় খেয়াল করেছেন কি প্রথম পিন সেট করা হোক বা প্রতিবার পিন দেওয়ার সময়ই হোক, এই সিকিওর্ড জিনিস গুলো যে যে স্ক্রিনে এন্ট্রি করা হয়, সব কটা এক দেখতে ! আসলে এরা এক দেখতে নয়, একই এবং এটাই কমন লাইব্রেরি বলে।  এটা NPCI র বানানো একটা প্রোগ্রাম, এটাই সবাই নিজের নিজের app এ ব্যবহার করে।  ফলে NPCI নিজেই পিনের সুরক্ষার দ্বায়িত্ত্ব নিচ্ছে এখানে। এতদিন এই কমন লাইব্রেরি ক্লায়েন্ট সাইড অর্থাৎ ফোনে থাকতো। এবার সেটা সার্ভার সাইডেও হচ্ছে, নতুন নতুন ইনোভেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। নিয়ার ফিউচারেই alexa , siri বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়েও UPI চালু হয়ে গেলে আমি অন্তত অবাক হব না। ভবিষ্যতে কি হল সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে, আপাতত এখন কি কি হল সেটাই বলি। 


    UPI123 তে আপাতত চারটে জিনিস চালু হল -


    App-based Functionality: আমরা যারা পুরোনো নোকিয়া বা অন্য কোন বোতাম টেপা ফোন use করেছি, আমাদের মনে থাকবে এই ফোন গুলোতেও ছোট ছোট app হয়।  সেই টেকনোলজি  ব্যবহার করে ফিচার ফোনের নতুন UPI app চালু হবে শিগগিরই। এখানে অবশ্য কিউ আর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করা যাবে না , এরকম টুকটাক দু একটা ড্র ব্যাক ছাড়া বাকি প্রায় সব সুবিধাই থাকবে’

    Interactive Voice Response (IVR): এই মেথডে নির্ধারিত নাম্বারে ফোন করতে হবে, সেখানে ওই কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলে যেমন হয় আর কি , এটার জন্য এক টিপুন , ওটার জন্য দুই টিপুন…. এভাবে যেমন যেমন বলবে সেটা ফলো করে UPI transaction করা যাবে বলে বলা হয়েছে NPCI ওয়েবসাইটে। অন্যের মোবাইল নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠানো যাবে সেটা বুঝলাম, VPA দিয়ে পাঠানো যাবে কি ? আমি NPCI ওয়েবসাইটে পেলাম না। বোতাম টেপা ফোনে @ দেওয়া খুব একটা সহজ কাজ হবে কি ? জানি না। 

    Missed Call: NPCI ওয়েবসাইট পড়ে আমি যে টুকু বুঝলাম, বিশেষ নাম্বারে মিসড কল দিলে, ফোন আসবে। তারপর IVR এর মতনই প্রসেস 

    Proximity sound-based payments: টোন ট্যাগ এই কোম্পানি আর NPCI মিলে বানিয়েছে এই সুবিধা। ফোনের থেকে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে শব্দ বেরোবে,দোকানদারের কাছে সেই শব্দের রিসিভার থাকলে, একে অন্যের সাথে কমিউনিকেট করতে পারবে, পেমেন্ট করা সম্ভব হবে। কিউ আর কোডের বিকল্প হিসাবে এটা কাজ করতে পারবে। 


  • ওতে লোকশিক্ষা হয় - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন থিয়েটার সম্পর্কে। নেটফ্লিক্সের জামতারা ওয়েব সিরিজ নিয়েও একই কথা বলা যায় - ওতে লোকশিক্ষা হয়। গল্প কত ভালো , চরিত্ররা কত ভালো অভিনয় করল , সে সবের থেকে বড় ব্যাপার হল ফ্রড গুলো কি করে করা হয় , মোটামুটি ভালো ভাবেই দেখিয়েছে। ওগুলো দেখলে ফ্রড কল এলে বুঝতে সুবিধা হবে কোনটা জেনুইন কোনটা না। গল্পের শেষে এসে যদিও গল্পের প্রয়োজনে এমন কিছু দেখিয়েছে যেটা টেকনিক্যালি ভুল , ওরকম হওয়া সম্ভব নয়। সেগুলো নিয়েই আড্ডা দেব এই এপিসোডে


  • UPI Lite , New feature from NPCI

    গত সপ্তাহে দুটো বড় ঘটনা ঘটল, Digital Safety পডকাস্ট জিতে নিলো esho podcast sikhi প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান আর UPI Lite লঞ্চ করলো NPCI । UPI এর এত বড় খবর, স্বাভাবিক ভাবেই whatsapp , linkedin , facebook এ বারবার আসবে আমার কাছে। ভাবলাম একটু খোঁজ নেয়া যাক জিনিসটা কি। যা দেখলাম excitement control করা কঠিন হয়ে গেল আমার কাছে। সেই উত্তেজনাই আপনার সাথে ভাগ করে নেব আজ। 


    নমস্কার আমি সৃজন।  ডিজিটাল সেফটি পডকাস্টে আজ কথা হবে UPI লাইট নিয়ে।  


    শেষ কয়েকটা এপিসোড ধরেই বলছি , ডিজিটাল সেফটি সিজন ওয়ান শেষ হবে এবার। তারপর আসবে সিজন টু। সিজন টু তে সেফটি ছাড়াও , শুধু ডিজিটাল নিয়েও অনেক এপিসোড হবে , যেখানে থাকবে তথ্য নির্ভর আলোচনা , কোন রকম সতর্কবাণী ছাড়াই। এই এপিসোড শুনলে বুঝতে পারবেন, সেগুলো কিরকম হতে পারে। আজ এই স্পেশাল এপিসোড সিজন টু এর এক ঝলক বলেই ভাবতে পারেন । 


    ডিজিটাল সেফটি পডকাস্টে আড়াইখানা এপিসোড হয়েছে UPI নিয়ে , দুটো পুরো আর রেকারিং পেমেন্টের অর্ধেকটা। সেগুলো না শুনে থাকলে , এই এপিসোড থামিয়ে ওই তিনটে এপিসোড , অন্তত UPI এর এপিসোড দুটো শুনে তারপর শুরু করুন , বুঝতে সুবিধা হবে।  


    আমরা জানি, একটা UPI transaction হওয়ার জন্য maximum চারটে ব্যাঙ্ক ইনভল্ভ হতে পারে।

    যে টাকা পাঠাচ্ছে তার একাউন্ট যে ব্যাংকে সেটা 

    VPA অর্থাৎ ভার্চুয়াল পেমেন্ট address যে ব্যাঙ্কের সেই ব্যাঙ্ক 

    যে টাকা পাচ্ছে অথবা যে মার্চেন্ট টাকা পাচ্ছে তার VPA যে ব্যাংকের , সেই ব্যাংক 

    যে টাকা পাচ্ছে অথবা যে মার্চেন্ট টাকা পাচ্ছে তার একাউন্ট যে ব্যাংকে, সেই ব্যাংক 


    এই চারটি ব্যাংক আলাদা আলাদা ব্যাংক হতে পারে , এবং অনেক সময়েই এরা আলাদা ব্যাংকই হয়।  এরা  ছাড়াও NPCI তো আছেই। 


    একটা ট্রানসাকশান এর সময় প্রথম ব্যাংক থেকে টাকা কাটা যায় এবং চতুর্থ ব্যাংকে টাকা পৌঁছায়, মাঝখানে আরও দুটো ব্যাংক এবং NPCI আছে। এর বেশি টেকনিক্যাল কচকচানিতে যাবো না। পুরো প্রসেসটায় NPCI দেখেছে failure সব থেকে বেশি হয়, যে ব্যাংকের থেকে টাকা কাটা যাচ্ছে, সেখানে। সিস্টেমের প্রবলেম বা একাউন্টে টাকা না থাকার জন্য ।


    UPI লাইট এসে সেই জায়গাটাকেই ঠিক করল।   এবং এটা করা হল small ticket size অর্থাৎ ছোট amount এর transaction এর জন্য । UPI Lite দিয়ে একবারে কেবল মাত্র 200 টাকা অব্দি দেওয়া যাবে, আর সারা দিনে 2000 এর বেশি দেওয়া যাবে না। 200 কেন ? কারন প্রায় 50% মতন transaction হয় 200 টাকার নীচে । এই নতুন পদক্ষেপের ফলে transaction failure হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেল।


    UPI লাইট আর পকেটে রাখা ক্যাশের বিশেষ কিছু ফারাক নেই। UPI Lite এ এই যে নতুন জিনিস চালু করা হল, সেটাকে on device balance বলা হচ্ছে। পাতি বাংলায় বললে ফোনে এই ব্যালেন্স থাকবে। এটা পেটিয়েম বা ফোনপের ওয়ালেটের মতনই একটা জিনিস। ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে টাকা লোড করতে হবে , পেমেন্ট করার সময় ২০০ টাকার নিচে হলে এই on device balance থেকে টাকা কাটা যাবে , ফলে , ব্যাঙ্কের পাশবই বা স্টেটমেন্টে এই সব ট্রানসাকশান আসবে না।  মজার ব্যাপার হল , UPI লাইটে UPI পিন ও লাগবে না। শুধু UPI QR স্ক্যান করেই পেমেন্ট করা যাবে। 


    আমাদের পার্সে ক্যাশ টাকা থাকলেও এটাই হবে, পাশবইতে একগাদা এন্ট্রি হবে না , টাকা দেওয়ার সময় UPI পিন লাগবে না। তবে App Password দিতে হবে app খুলতে হলে , আর এটা অন্য কেউ জেনে গেলে, আর তার হাতে ফোন পড়লে সে এই টাকা ব্যবহার করতে পারে , ঠিক যেমন আমার পার্স অন্য কারো হাতে গেলে সে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিতে পারে। 


    তবে একটা জিনিস , বেশ কয়েকটা সাইটে দেখলাম বা ইন্সটা রিলে রাজীব মাখনিকে বলতে শুনলাম UPI লাইট ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে , সেটা ঠিক না।  সেটার জন্য অন্য প্রোডাক্ট UPI123 । সেটা নিয়ে অন্য কোনো দিন কথা হবে। 


    এই পডকাস্ট, স্পটিফাই ,গুগল পডকাস্ট, Apple পডকাস্ট , স্টিচার , গানা ,amazon prime music, audible সহ সমস্ত leading পডকাস্ট প্লাটফর্মে শোনা যাচ্ছে। এবং, এখন ইউটিউবেও শোনা যাচ্ছে। 


    আপাতত আর দুটো এপিসোডের পর সিজন ওয়ান শেষ করব। তারপর কয়েকদিনের ব্রেক নিয়ে সিজন টু শুরু হবে, একটু অন্যভাবে, যার এক ঝলক দেখলাম আমরা আজ এই এপিসোডে।  আপনার কোনো সাজেশন আছে কিভাবে এই পডকাস্ট আরো ভালো করা যায় ? জানান আমাকে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজন কুন্ডু বা ডিজিটাল সেফটি যে কোন প্রোফাইলে জানাতে পারেন নির্দ্বিধায়। 


    RBI এর একটা দরকারি সার্কুলার নিয়ে কথা বলার কথা আছে এই সপ্তায় , চেষ্টা করব এই সপ্তাতেই করার,  সেটা না হলে কথা হবে পুজোর পরে । 


    ততক্ষন, পাশে থাকবেন, ভালো থাকবেন আর অতি অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। 


    ধন্যবাদ। 









  • স্পটিফাই এর প্রথম কলকাতা ইভেন্ট । এসো পডকাস্ট শিখির পুরস্কার মঞ্চ ।

    কখনো কখনো জীবনে অবাস্তব ঘটনা ঘটে , স্বপ্নকে বাস্তবের থেকে বেশি বাস্তব বলে মনে হয় । বাইশে সেপ্টেম্বর দু হাজার বাইশ এরকমই একটা দিন ।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মীর , ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জী , গৌরব চক্রবর্তী , ধ্রুবন্ক বৈদ্য ( স্পটিফাই ইন্ডিয়া হেড, পডকাস্ট ) । ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে না , তারা হলেন ইন্দ্রানী চক্রবর্তী , পত্রভারতী র এষা চ্যাটার্জী , গৌরব তপাদার , পৌলমী নাগ ।

    এনাদের কারোরই পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই, সেই যোগ্যতাও আমার নেই ।

    এনারা বিচার করে Digital Safety কে প্রথম পুরস্কার দিয়েছেন । এত বড় সম্মান , আমি একদিন পরেও বিশ্বাস করতে পারছি না ।

    আমার থেকে কয়েকগুণ বেশি ভালো পডকাস্ট এই প্রতিযোগিতায় ছিল , টপ 73 টা লং লিস্টের অনেক পডকাস্ট আমি শুনেছি । আমাকে বিচার করতে বললে আমি টপ 10ই বাছতে পারতাম না। নিজেকে প্রথম কেনো, টপ টেনেও রাখতাম না ।

    অরিজিৎ সিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হন নি, টপ 3 তেই থাকেন নি । তাই প্রতিযোগিতার ফল শেষ কথা নয় ।

    আমার যে বন্ধুরা পুরস্কার পেলেন না , তাদের আবারো বলব , এই পুরস্কার আমার একার নয়। এসো পডকাস্ট শিখিতে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেই আমাদের প্রত্যেকের ।

    স্টেজে দাঁড়িয়ে পার্থ কথা হারিয়ে ফেলেছিলেন , আর আমি বেশি বকবক করেছিলাম । কিন্তু এই যে কথাটা বলেছিলাম , এই প্রাইজ আমাদের প্রত্যেকের এটা একদম মন থেকে বলেছিলাম , আবারো বলছি ।

    পুজো সবার ভালো কাটুক ।

  • AADHAAR Pay: Biometric Theft
    এই এপিসোডটা বাকি এপিসোড গুলোর থেকে একটু আলাদা। আগের অন্য এপিসোড গুলোয় সুরক্ষার জন্য মূলত পাসওয়ার্ড , OTP বা মোবাইল ফোনের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। একটু সতর্ক থাকলে , ফোন করে কেউ বোকা বানানোর চেষ্টা করলে একটু মাথা ঠান্ডা রেখে সেটা এড়ানো যায়। কিন্তু আজ যেটা নিয়ে কথা হবে, আধার এবং বায়োমেট্রিক অর্থাৎ হাতের ছাপ, চোখের মণি ডিজাইন এগুলো কোনো ভাবে পাল্টানো যায় না।  তাই এই তথ্য, অন্যের চলে গেলে সেই ভুল শোধরানোর সুযোগ নেই।
    ডিজিটাল সেফটি পডকাস্টে আজ আমরা কথা বলছি আধার ও বায়োমেট্রিক থেফ্ট নিয়ে।

  • Digital Sextortion : এই এপিসোডটা আরো আগে হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা যারা চার পাশে কি হচ্ছে একটু আধটু বুঝতে পারি , কেউ ফোন করে কার্ড নাম্বার, OTP চাইলে হয় ফোন রেখে দেই বা ভুল ভাল কার্ড নাম্বার বলে মজা করি , তারাও , এই ফ্রডের শিকার হলে অসহায় হয়ে পড়ি এবং ভয়ে ক্রিমিনালদের দাবী মতন টাকা দিয়ে ফেলি। আমি নিজে আমার পরিচিত দুজনকে এর শিকার হতে দেখেছি।
    Sextortion এর এই টপিকের দুটো ভাগ আছে। একটা physical একটা ডিজিটাল। প্রথমটা এই পডকাস্ট কভার করছে না। এই পডকাস্টে কেবল ডিজিটাল অংশ নিয়েই কথা হবে। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই যিনি শিকার হচ্ছেন, তিনি মানসিক ও আর্থিক বিড়ম্বনার মুখোমুখি হন। প্রথম ক্ষেত্রে এর সাথে অপ্রীতিকর শারীরিক পরিস্থিতি ও থাকে।  এই পডকাস্টের প্রায় পাঁচ শতাংশ শ্রোতার বয়স সতেরোর কম, তাই সচেতন ভাবে ফিজিক্যাল অংশটা এড়িয়ে গেলাম। অভিভাবকদের অনুরোধ করব আপনার সন্তানের maturity অনুযায়ী এটা নিয়ে আপনার সন্তানের সাথে কথা বলুন যাতে কখনো এরকম পরিস্থিতির শিকার হলে, ভয় না পেয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
    নমস্কার, আমি সৃজন। আজ ডিজিটাল সেফটি পডকাস্টে কথা বলছি ফ্রডের নতুন ট্রেন্ড Digital Sextortion নিয়ে ।

  • While I was struggling to find a suitable topic for this episode, a fraudster called me to dupe. This episode is just to share my experience and experience of one of my friends as well in simple Bengali. This episode is one of the last episodes of the first season. This bengali podcast was created to participate in "Esho Podcast Shikhi". I would come up with season 2 in a changed format soon. Share your suggestions with me on my social media platforms.

  • Mobile Phone / মোবাইল ফোন 

    ফোনে স্ক্রিন লক অবশ্যই রাখুন, অন্যের হাতে পড়লে সহজে ব্যবহার করতে পারবে না
    ফোনে শক্তপোক্ত পাসওয়ার্ড সেট করুন যেটা সহজে অনুমান করা যাবে না
    ভুল লোক, ফোন খোলা পেলে *99# ডায়াল করে UPI করতে পারে, UPI তো এখন IVR দিয়েও করা যায়।
    ফোনের সেটিংস এ গিয়ে স্ক্রিন টাইম আউট ৩০ সেকেন্ড করে রাখুন , লক করতে ভুলে গেলে , নিজে থেকে লক হয়ে যাবে
    Android আর iOS দুটোই আসলে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম।  ভাইরাস সহজে আসে না।  তবে সাবধানের মার নেই।  সম্ভব হলে একটা পেড anti virus ইনস্টল করে রাখুন।
    OS আপডেট করতে বললে সাথে সাথে করে নিন।  ফেলে রাখবেন না
    পাবলিক ওয়াই ফাই দিয়ে ভাইরাস ছড়ায়। শুধু তাই না , আপনি কি কি সাইট ভিজিট করছেন, যার ওয়াই ফাই সে দেখতে পায়। খুব প্রয়োজন না হলে পাবলিক ওয়াই ফাই এড়িয়ে চলুন
    ট্রোজান হর্স নিয়ে আগের এপিসোডে বলেছি। টেলিগ্রাম, টরেন্ট বা ইন্টারনেট থেকে ফ্রিতে কিছু ডাউনলোড করার লোভ সংবরন করুন। ডাউনলোড করা ফাইল বিপদ ডেকে আনতে পারে।
    কখনো মোবাইল হারিয়ে গেলে সাথে সাথে টেলিকম কম্পানিকে ফোন করে সিম ব্লক করুন আর থানায় GD করে রাখুন।  আর
    যতটা সম্ভব মোবাইল ফোনকে পুরোনো দিনের ল্যান্ডলাইন ফোনের মতন ব্যবহার করুন , কথা বলার জন্য। টাইমপাস করার জন্য পুরোনো দিনের অভ্যাসে ফিরে যান , বই পড়ুন , গান শুনুন , পাশের লোকের সাথে দুটো কথা বলুন।

  • WhatsApp আমরা সকলেই ব্যবহার করি। এখন এমন কি অফিসিয়াল কম্যুনিকেশন ইমেলের আগে WhatsApp এ চলে আসে। কিছু বয়স্ক মানুষ আছেন যারা ফেসবুক , UPI , মোবাইল ব্যাঙ্কিং কিছুই করেন না, কিন্তু WhatsApp টা করেন কাছের মানুষ, যারা physically দূরে থাকেন , তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য। এনারাই সব থেকে vulnerable, কেউ সাহায্য করছে বললে, সহজেই বিশ্বাস করে ফেলেন। 
    এছাড়াও WhatsApp  এ ছড়ানো ফেক নিউজ , অবিশ্বাস্য অফার আর প্রতিদিন সকালে পাওয়া গুড মর্নিং মেসেজ।  সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে এই এপিসোডে।